My latest research article "Evaluation of medicines dispensing pattern of private pharmacies in Rajshahi, Bangladesh"

0
আনন্দের সাথে জানাচ্ছি আমার এবং ডা: তাওহীদ হোসেন রোমেলের যৌথভাবে করা গবেষণা নিয়ে গবেষণাপত্রটি অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে আজ সকালে। আমাদের গবেষণার বিষয় ছিল "Evaluation of medicines dispensing pattern of private pharmacies in Rajshahi, Bangladesh"
.
২০১৬ সালের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত রাজশাহীর লক্ষ্মীপুরে চলা এই গবেষণাটিতে কিছু গুরুত্বপুর্ণ তথ্য উঠে এসেছে। ইতিপূর্বে দেশে সেলফ মেডিকেশনের উপরে অনেক সায়েন্টিফিক তথ্য থাকলেও আমাদের জানামতে ফার্মাসীতে মেডিসিন ডিস্পেন্সিং প্যাটার্ন এবং ইর‍্যাশনাল ড্রাগ ইউজে তাদের অবদানের উপর এটাই প্রথম স্টাডি।
.
Read More

List of of papers on stunted growth of under 5 children in South Asia

0
রিপোর্টে পড়লাম সাউথ এশিয়াতে ৫ বছর বা এর কম বয়সী বাচ্চাদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ বাচ্চার বৃদ্ধি স্বাভাবিকের তুলনায় কম। এর জন্য মূলত পুষ্টিজনিত অভাব দায়ী। আমাদের এই অঞ্চলে এখন শিশুদের খাবার উন্নত করা এবং নারীর পুষ্টির দিকে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। এছাড়াও স্যানিটেশন উন্নত করাও খুব দরকার। নিজ আগ্রহে এবং কিছু অন্য দরকারে আমি এই সংক্রান্ত কয়েকটি পেপারের একটি লিস্ট তৈরি করলাম যা এই বিষয়ে পাঠককে চিন্তার খোরাক দেবে বলে আশা রাখি। সময় হলে পড়বেন। 
.
Stop stunting: improving child feeding, women's nutrition and household sanitation in South Asia.
Víctor M. Aguayo and Purnima Menon
http://onlinelibrary.wiley.com/doi/10.1111/mcn.12283/epdf
.
Childhood stunting: a global perspective.
Mercedes de Onis and Francesco Branca
http://onlinelibrary.wiley.com/doi/10.1111/mcn.12231/epdf
.
Read More

থ্যালিডোমাইডঃ চিকিৎসাবিজ্ঞানের এক কলঙ্কময় অধ্যায়

0


বিজ্ঞানের অন্যতম উদ্দেশ্য হচ্ছে মানুষকে নিরাপদ রাখা, সুস্থ রাখা। বিভিন্ন সময়ে আবিষ্কৃত নানা জীবন রক্ষাকারী ওষুধ বিজ্ঞানের এক অন্যতম উপকারী দিক। এই আধুনিক বিজ্ঞান যুগে আসতে আসতে ওষুধ আবিষ্কার ও ওষুধের ফলাফল যাচাই করার প্রক্রিয়া অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠেছে। মানুষ তার দীর্ঘদিনের ইতিহাস থেকে শিখেছে কোনো ওষুধ বাজারে ছাড়ার আগে এর একটি সম্ভাব্য ক্ষতিকর প্রভাবও অজানা রাখা যাবে না কেননা যদি কোন ক্ষতিকর প্রভাব ওষুধ বাজারজাত করার পরে জানা যায় তবে তা উপকারের বদলে মানব জাতির জন্য একরকম বুমেরাং হয়ে উঠতে পারে। থ্যালিডোমাইড, রোফিক্সিব ইত্যাদি ওষুধগুলোর ইতিহাস বারবার আমাদের ওষুধ তৈরি প্রক্রিয়াতে আরও বেশি সতর্ক হবার কথা মনে করিয়ে দেয়।

Read More

জন্মগত অঙ্গবিকৃতিঃ ঠোঁট -তালুকাটা রোগ ও ক্রেনিওসেন্টেসিস

0

মানবভ্রুন জন্মলগ্নের এককোষী জাইগোট অবস্থা থেকে ক্রমান্বয়ে বিভাজনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট আকৃতিযুক্ত দেহ লাভ করে। প্রাথমিক অবস্থায় বিভাজনের সময় অসংখ্য টটিপটেনশিয়াল স্টেম সেল উৎপন্ন হয় যারা একদিকে যেমন বিভাজনের মাধ্যমে নিজেদের ন্যায় কোষ তৈরি করতে পারে অপরদিকে দেহের যেকোনো কোষ উৎপন্ন করতে পারে। এভাবে অঙ্গ নির্মাণের জন্য কিছু স্টেম সেল নিয়ে অঙ্গকুড়ি গঠিত হয় যা থেকে পরবর্তীতে বিভিন্ন অঙ্গ তৈরি হয়। অঙ্গ তৈরির এই প্রক্রিয়াকে অর্গানোজেনেসিস বলে। অঙ্গ তৈরির এই জটিল প্রক্রিয়ায় অসংখ্য উপাদান মিথস্ক্রিয়া করতে পারে। সাধারণভাবেই ধারণা করা যায় এই প্রক্রিয়ার যেকোনো অংশে সামান্য বাঁধার সৃষ্টি হলে অঙ্গ সৃষ্টি ব্যহত হবে বা অঙ্গ বিকৃত আকার ধারন করবে এবং অঙ্গের নির্ধারিত কাজ করতে পারবে না। এমন দুটি জন্মগত অঙ্গ বিকৃতি নিয়েই এই লেখা।
Read More

মস্তিষ্ক ও নারী পুরুষের পার্থক্য

0


সম্প্রতি University of Exeter এবং King's College London এর গবেষণা মানব মস্তিকের বিকাশের জটিল প্রক্রিয়া সম্পর্কে আমরা যা জানি তাতে নতুন মাত্রা দিয়েছে।



Genome Research নামে জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা পত্রে তারা মানবমস্তিস্ক গঠনের সাথে যুক্ত জিনের সক্রিয়তা নিয়ে কাজ করেন। তাদের গবেষণার একটি অংশ ছিল মানব মস্তিস্কের কোষে ডিএনএ মিথাইলেশন নামে একটি প্রক্রিয়ার পার্থক্য নিয়ে যা পুরুষ ও নারীর আচরণ, মস্তিস্কের কার্যনীতি ও রোগের মধ্যে পার্থক্য সৃষ্টি করে। প্রকৃতপক্ষে ডিএনএ মিথাইলেশন হল ডিএনএ অণুর গঠনগত পরিবর্তন না করে ডিএনএ অণুর সাথে মিথাইল মূলক যুক্ত করার মাধ্যমে ডিএনএ এর সংশ্লিষ্ট অংশকে নিস্ক্রিয় করে দেয়া অর্থাৎ প্রোটিন তৈরি করতে না দেয়া। এই গবেষণার উদ্দেশ্য ছিল সেই সকল আণবিক ‘সুইচ’ নিয়ে কাজ করা যা ডিএনএ এর গঠন না বদলেই তাকে নিস্ক্রিয় করে দিতে পারে। এককথায় এই প্রক্রিয়া গুলোকে একত্রে এপিজেনেটিক্স বলে(এপি শব্দের অর্থ উপরে)।

Read More

অস্থিমজ্জা দানঃ রক্ত রোগ জয়ের এক সফল অস্ত্র

0


সুপ্রাচীনকাল থেকেই মানুষ ভেবেছে কীভাবে একজন মানুষের অঙ্গ আরেক জন মানুষের দেহে প্রতিস্থাপন করা যায়।১৬২৮ সালে ব্রিটিশ বিজ্ঞানী উইলিয়াম হার্ভে সর্বপ্রথম মানবদেহের রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া বর্ণনা করেন তার কিছুদিন পরেই মানুষ রক্ত প্রতিস্থাপন বা বিনিময় করতে সক্ষম হয়। সেই রক্ত বিনিময় প্রক্রিয়ার সমস্যাগুলোকে দূর করতে, একে আরও সহজ করতে কেটে গেছে অনেক অনেক বছর। বিজ্ঞানের বিকাশের ফলে চিকিৎসাবিজ্ঞানীরা বুঝতে শিখেছেন মানবদেহের ট্রান্সপ্লান্টেশন ইমিউনিটিকে। এখন শুধু রক্ত নয়, প্রতিস্থাপন করা সম্ভব লিভার, কিডনির ন্যায় বৃহৎ অঙ্গ।


Read More

ব্লাড ক্যান্সারঃ এক প্রাচীন ঘাতক

0

বর্তমানে চিকিৎসা ব্যবস্থার বিবিধ উন্নতির ফলে আমরা অতীতের অনেক রোগকে হারাতে পারলেও সেই প্রাচীন কালের ক্যান্সার নামক রোগকে আমরা কিছুতেই যেন নিজেদের আয়ত্তে আনতে পারছি না। আমাদের শরীরের কোষগুলোও ঠিক আমাদের মত করেই ভাবে। যখন কোষের চারপাশের পরিবেশে এটির বেঁচে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়ে তখন এটি নিজের গাঠনিক বৈশিষ্ট্যকে বদলে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে কিন্তু এই চেষ্টা করতে গিয়েই অনেক সময় সৃষ্টি হয় বিপত্তি; নিয়ন্ত্রনহীন কোষ বিভাজনের মাধ্যমে সৃষ্টি হয় টিউমার বা নিওপ্লাজম যা এক প্রকার অনিয়ত্রিত কোষগুচ্ছ। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দেহে প্রতিদিন এমন অসংখ্য কোষ তৈরি হয় কিন্তু তা গুচ্ছ সৃষ্টির আগেই নানা প্রক্রিয়াতে ধবংস হয়ে যায়, তবে দুর্ভাগ্যক্রমে যদি টিকে যায় তাহলেই সমস্যার শুরু। এরকম একটি কোষ গুচ্ছ যদি টিকে যায় তবে তার ভবিষ্যৎ দু রকম হতে পারে। প্রথমত এটি যে অবস্থায় আছে সেভাবেই থেকে যেতে পারে কোষের তেমন কোন উল্লেখযোগ্য গাঠনিক পরিবর্তন না করে। দ্বিতীয়ত এটি আকারে বড় হতে পারে, কোষের গঠনগত মৌলিক পরিবর্তন যেমন নিউক্লিয়াস ও সাইটোপ্লাজমের ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং এই কোষগুলো নিজেদের ভিত্তিপর্দা ভেদ করে আশেপাশের কোষের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। প্রথম ধরনের কোষগুলো বিনাইন ও দ্বিতীয় ধরনের কোষগুলোকে ম্যালিগনেন্ট নিওপ্লাজম বা ক্যান্সার বলে।

Read More