জীবন ভাবনা
0
বেশিরভাগ মানুষই চিন্তা করতে চায় না, ভাবতে চায় না; কোনক্রমেবেঁচে থেকে জীবনটাকে ঠেলে ঠুলে মৃত্যু পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া, এরপরে স্বর্গে বসাই আমাদের অধিকাংশ মানুষের জীবনের লক্ষ্য।ছোটবেলা কৌতুহলবশতঃ যখন মাদ্রাসা বা স্কুল টিচারের কাছে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করে তারা, মাদ্রাসা শিক্ষক বা স্কুল শিক্ষক যতটুকু কোরান হাদিস বা অন্য কোন গালগপ্প রুপকথা থেকে যতটুকু জানে, উত্তর দেবার চেষ্টাকরে। কোন এক বেমক্কা ...প্রশ্নের সম্মুখে পরলেই কষে থাপর দিয়ে বসে। কারণ নিজের অজ্ঞতা সে ঢেকে রাখতে চায়, প্রথমে কাল্পনিক অজুহাতের নাম দিয়ে, পরে শক্তি প্রয়োগ করে। কিন্তু তাতে যা হয়, তা হচ্ছে শিশুটির কৌতুহল নষ্ট হয়ে যায়। সে আর প্রশ্ন করতে শেখে না, জানার আগ্রহটাই মরে যায়। সে এক রোবটে পরীনত হয়,তার সৃজনশীলতা বলে আর কিছু থাকে না। পড়ানোর সময় একদল মূর্খ শিক্ষকদের ঘিরে থাকে, শিক্ষক যাই বলে আর সকলে যেমন চিৎকার করে ছাত্ররাও তাই বলে চেঁচায়, কোন দ্বিমত নাই, কোন নতুন চিন্তা নাই, তাদের দিয়ে সভ্যতা আর যাই হোক, প্রগতি আশা করে না।
আর যারা নিজেদের কৌতুহলী মন, জিজ্ঞাসু মনন, জানার অদম্য আগ্রহটিকিয়ে রাখে, তারাই নমস্য।
আর যারা নিজেদের কৌতুহলী মন, জিজ্ঞাসু মনন, জানার অদম্য আগ্রহটিকিয়ে রাখে, তারাই নমস্য।